স্বাগতম,পাশে থকুন

youtube twitter facebook instagram

Proper Solutions

সর্বশেষ
খেলা বিনোদন প্রযুক্তি শিক্ষা চাকরি জীবনযাপন

মাধুরী বললেন, ‘জেন-জিদের কাছ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি

বলিউডের নারী সুপারস্টার মাধুরী দীক্ষিত বলেছেন, জেন–জিদের থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে নিজের ক্যারিয়ার ও বলিউডের পরিবর্তন নিয়ে কথা বলার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ভিউ: ৯৪

বৃষ্টির মেঘের আভাস

পোস্ট আপডেট ০৭ জানুয়ারী ২০২৫   ৪ মাস আগে

অনেকে মনে করেন, মাধুরী দীক্ষিতই বলিউডের শেষ নারী সুপারস্টার। তাঁর অভিনয় ও সৌন্দর্য আজও সিনেমাপ্রেমীদের মুগ্ধ করে। কিছুদিন আগে তিনি ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’ ছবিতে নাচ ও অভিনয়ে মন মাতিয়েছেন। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে মাধুরী বলিউড এবং নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে নানা কথা শেয়ার করেছেন।

‘দ্য ফেম গেম’, ‘মজা মা’ এবং ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’-এ নতুন প্রজন্মের একাধিক অভিনেতার সঙ্গে কাজ করেছেন মাধুরী দীক্ষিত। তাদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে মাধুরী বলেন, ‘নতুনদের সঙ্গে কাজ করা মানেই নতুন অভিজ্ঞতা এবং নতুন কিছু শেখার সুযোগ। আমি মনে করি, এই প্রজন্মের অভিনেতারা অত্যন্ত নিবেদিতপ্রাণ এবং নিয়মানুবর্তী। ওরা সময়কে দারুণভাবে ম্যানেজ করতে জানে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়।’

ইদানীং বলিউডে নারীকেন্দ্রিক ছবির সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। সিনেমা বা সিরিজের চিত্রনাট্যে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের ভূমিকাও গুরুত্ব পাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে মাধুরী দীক্ষিত বলেন, ‘একটা সময় ছিল, যখন নারীরা কেবল সাইডলাইনে থাকতেন। বিশ্বাস করুন, তখন তাঁদের ছবিতে রাখা হতো শুধুমাত্র চোখের আরাম দেওয়ার জন্য। তবে ধীরে ধীরে দিন বদলাচ্ছে। ৪০-৬০-এর দশকে, গুরু দত্তের মতো পরিচালকেরা যখন কাজ করতেন, তখন নারীরা তাঁদের দুনিয়ার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতেন। কিন্তু তারপর পরিস্থিতি পাল্টে যায়। এরপর এমন এক সময় আসে, যখন আমরা শুধু পর্দায় সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য উপস্থিত থাকতাম। তবে ৯০-এর দশকে আবার পরিবর্তনের হাওয়া দেখা যায়।’

তিন দশকের বেশি সময় ধরে বলিউডে রাজত্ব করেছেন মাধুরী দীক্ষিত। এক সময় তিনি ছিলেন বলিউডের এক নম্বর অভিনেত্রী। ক্যারিয়ারের শীর্ষ পর্যায়ে চিকিৎসক শ্রীরাম নেনেকে বিয়ে করে তিনি পাড়ি জমান আমেরিকায়। দীর্ঘ বিরতির পর ২০০৭ সালে ‘আজা নাচ লে’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে প্রত্যাবর্তন করেন মাধুরী, যা ভক্তদের জন্য ছিল এক বিশেষ আনন্দের মুহূর্ত।

মাধুরী দীক্ষিত উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘“জিগরা”র মতো ছবিতে বোন তার ভাইকে উদ্ধার করতে যাচ্ছে। এটা দেখায় যে অভিনেত্রীদের চরিত্রে কীভাবে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে এখন এমন কিছু পরিচালক আছেন, যাঁরা প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়ে কাজ করেন। তবে এমন আরও পরিচালকের প্রয়োজন আছে। কারণ, ইন্ডাস্ট্রিতে এখনো অনেক ক্ষেত্রে পরিবর্তনের প্রয়োজন।’

জেন–জেনারেশন সম্পর্কে মাধুরী জানান, এই প্রজন্ম তাঁকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। তিনি বলেন, ‘জেন–জিদের সঙ্গে যখনই আমার দেখা হয়, মনে হয় তাঁরা খুবই স্মার্ট এবং অনেক কিছু জানে। তাঁরা জীবনের অভিজ্ঞতাগুলো ভাগ করে নিতে জানে। সোশ্যাল মিডিয়া তাঁদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। জেন–জিদের থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। এমনকি আমার ছেলেরাও অনেক কিছু জানে, যা আমাকে অনুপ্রাণিত করে।’



কমেন্ট